ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার উপরে
জেলা প্রতিবেদক
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও ভারিবর্ষণে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার বিকেলের পর পানি বেড়ে শনিবার সকাল থেকে ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বাড়ার ফলে জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে এসব এলাকার বেশ কিছু মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
চরাঞ্চলে পানিবন্দী জেলাল উদ্দিন, হায়দার, আমিনুর ও আবেদ মিয়া দ্য রিপোর্টকে জানান, পানি বেড়ে অনেকের বসতভিটায় ঢুকতে শুরু করেছে। যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে দিনের মধ্যে বসতভিটে তলিয়ে যাবে। অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও উঁচু জায়গায় চলে যাচ্ছেন।
জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত যমুনা, তিস্তা, করতোয়া ও ঘাঘট নদীর পানি বাড়ায় জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার দু’শতাধিক পরিবারের বসতভিটে ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর তীরবর্তী এলাকার শত শত পরিবার বন্যা আতংকে পরিবার-পরিজন ও বসতভিটে গরু, ছাগল সরিয়ে উঁচু জায়গা ও বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন।
ফুলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান (ইউপি) এমএ সবুর জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তার ইউনিয়নের অনেক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এখন পর্যন্ত তাদের মাঝে সরকারি ও বেসরকারি কোনো ত্রাণ বিতরণ করা হয়নি।
এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর, গজারিয়া, ফুলছড়ি, এরেণ্ডাবাড়ী, উড়িয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকার চরাঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত বসতভিটের কাছে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া ফুলছড়ি উপজেলার সিংড়িয়া এলাকার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ও জিও ব্যাগ ফেলে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/নির্ঝর